গবেষণায় বলা হয়েছে একটি শিশুর ৯০ ভাগ বুদ্ধির বিকাশ সাধারণত ৫ বছর বয়স মধ্যে হয়ে থাকে। তাই একটি শিশুর মস্তিষ্ক গঠন, শারীরিক গঠন, বুদ্ধির বিকাশ এই বয়সেই হয়ে থাকে। আপনার শিশুকে দৈনিক পরিপূর্ণ ভাবে পুষ্টি চাহিদা পূরণ করে শিশুকে হেলথি করে তুলতে হোমমেড সেরেলাক বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
হোমমেড সেরেলাকের পুষ্টিগুন ও উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিই-
চাল- হোমমেড সেরেলাকে ব্যবহৃত বাসমতি চাল, নাজির শাইল চাল, পোলাও চাল, লাল চালে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুনাগুন।পরিমাণে আয়োডিন, কার্বোহাইড্রেড, ভিটামিন B1,B6. আয়োডিন ও ফাইবার। যা শিশুর রক্ত স্বল্পতা দূর করে ও দ্রুত ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। লাল চালে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও আয়োডিন থাকে। লাল চাল ক্যান্সার, ডায়াবেটিস, হৃদরোগে প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে৷ নাজিরশাইল চাল দ্রুত হজমে সহায়তা করে।
ডাল- হোমমেড সেরেলাকে ব্যবহৃত হয় মশুর ডাল, মটর ডাল, ছোলার ডাল,খেসারি ডাল,এংকর ডাল, কালাই ডাল, মুগের ডাল এগুলোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, কপার, জিংক, ভিটামিন বি,ফাইবার ও আয়োডিন। ক্যালসিয়াম শিশুদের হাড় ও দাতের গঠনের বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ডালে শিশুদের রক্ত স্বল্পতা দূর হয়,মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটে দ্রুত বেড়ে উঠতে সহায়তা করে ডাল। ডাল শিশুদের রুচি বৃদ্ধ করে। ডালে থাকা প্রোটিন শিশুদের ওজন দ্রুত বাড়াতে সাহায্য করে।
খেজুর- খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে গ্লুকোজ। এছাড়াও রয়েছে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক। খেজুর আশঁ জাতীয় খাবার। খেজুর কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, রক্ত স্বল্পতা দূর করে, দাতের মাড়ি মজবুত করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং প্রচুর পরিমাণে শক্তির জোগান দেয়। খেজুরকে শক্তির উৎস বলা হয়। নিয়মিত খেজুর খেলে শরীরের গ্লুকোজের অভার দূর হয়।
কাজুবাদাম – কাজুবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে লৌহ, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম। কাজুবাদাম মস্তিষ্কের বৃদ্ধি সাধন করে, স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করে, ওজন বাড়ায়, হাড় গঠনে সাহায্য করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, এছাড়াও ক্যান্সার প্রতিরোধেও কাজুবাদামের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
কাঠবাদাম – কাঠবাদামে রয়েছে ফলিক এসিড,জিংক, ফাইবার,ভিটামিন ই, মিনারেল,জিংক, ফসফরাস।কাঠবাদাম বাচ্চাদের হাড় গঠন ও মস্তিষ্কের জন্য অনেক উপকারি খাবার। ক্যান্সার প্রতিরোধ করে কাঠবাদাম। ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্ট কোষ্ঠকাঠিন্যের জন্য কাঠবাদাম অনেক ভালো। কাঠবাদাম ত্বক সুন্দর করে। এতসব পুষ্টিগুনের জন্য কাঠাবাদাম কে বাদামের রাজা বলা হয়।
পেস্তাবাদাম – পেস্তাবাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই। ভিটামিন ই ত্বককে সুন্দর ও সতেজ রাখে। আরো রয়েছে প্রোটিন, এন্টিঅক্সিডেন্ট, ফাইবার, ভিটামিন বি,ই,সি,পটাসিয়াম, জিংক, ক্যালসিয়াম। পেস্তাবাদাম রক্তকে শুদ্ধ করে। এছাড়াও লিভার ও কিডনী ভালো রাখে পেস্তাবাদাম। পেস্তাবাদাম কোষ্ঠকাঠিন্য দূর।
চিনাবাদাম- এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যলাসিয়াম, প্রোটিন, ফসফরাস,আয়রন, পটাসিয়াম, সোডিয়াম। চিনাবাদাম বাচ্চাদের হাড়, মস্তিষ্কও দাতের গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এটি বাচ্চার দ্রুত ওজন বাড়ায়।
গম- গমে আছে ম্যাগনেসিয়াম,এনাজাইম, এন্টিঅক্সিডেন্ট। গম একটি এন্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। দাতের ক্ষয় রোধে,দাতের গোড়া শক্ত করতে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে গম। গম লিভারের জন্য অনেক ভালো। গমে বিদ্যমান আয়রন নখের জন্য অনেক ভালো।
ভুট্টা – গমের মতো ভুট্টাও একটি এন্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান৷ ভুট্টা আশঁজাতীয় শস্য। ভুট্টাতে ভিটামিন এ থাকার কারণে ভুট্টা দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। ভুট্টা ত্বককে সতেজ রাখতে সহায়তা করে।
সাগুদানা- এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেড ও শর্করা। সাগুদানা হজমে সাহায্য করে, শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে, পানির ভারসাম্য রক্ষা করে। হার্টের রোগীদের জন্য সাগু অনেক ভালো একটি খাবার।
আপনার শিশুর প্রতিদিনের সঠিক পুষ্টি নিশ্চিত করতে হোমমেড সেরেলাকের বিকল্প নাই। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় হোমমেড সেরেলাক রাখলে আপনার শিশু সঠিক পুষ্টি পাবে। হোমমেড সেরেলাক ৬ মাস থেকে শুরু করে সকল বয়সীরাই খেতে পারবেন। এটা সম্পূর্ণ কেমিক্যালমুক্ত, ভেজালমুক্ত, রঙ ও ফ্লেভারমুক্ত।
Reviews
There are no reviews yet.